“বিদেশে রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে ভারতীয়দের পক্ষে প্রথম পাবলিক ভাষণ দিয়েছিলেন সুকুমার রায়”

ইন্দ্রজিৎ সেনগুপ্ত

Posted On: June 12, 2021

রবীন্দ্রনাথ তখন লণ্ডনের নার্সিং হোমে ভর্তি, অর্শ রোগের চিকিৎসার জন্য। সুকুমার প্রায়ই তাঁকে দেখতে যেতেন। কবি যেদিন নার্সিংহোমে সেদিন [১৯১৩ সালের ২১ জুলাই, সোম ৫ শ্রাবণ ১৩২০] লণ্ডনের ইস্ট অ্যাণ্ড ওয়েস্ট সোসাইটিতে সুকুমার রায় “The Spirit of Rabindranath Tagore” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ পাঠ করেন— এবং প্রবন্ধটি ‘The Quest’ পত্রিকায় ছাপা হয়।

বক্তৃতার শুরুতে শ্রোতাদের কাছে রবীন্দ্রনাথের পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি এইভাবে— “In the midst of all our work and all our pleasures, we are often unconscious that we are ever carrying with us the burden of an eternal question… But in some lives— and these lives are only truly great— the question has assumed an imperative form; and wherever the demand for an answer has been thus insistent, we have had one of those contributions to human thought that leave a definite impression on the ever-changing ideals of humanity”.

রবীন্দ্রনাথের কবিতা সম্বন্ধে তিনি বলেছিলেন— “Rabindranath’s poetry is an echo of the infinite variety of life, of the triumph of love, of the supreme unity of existence, of the joy that abides at the heart of all things. The whole development of his poetry is a sustained glorification of love. His philosophy of love is an interpretation of the mystery of existence itself.”

রবীন্দ্রজীবনীকার প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের মতে, “ইহাই বোধ হয় রবীন্দ্রনাথ সম্বন্ধে ভারতীয়দের পক্ষে প্রথম পাবলিক ভাষণ।”

এর তিন-চার দিন পর ২৫ জুলাই সুকুমার পুণ্যলতাকে এই প্রবন্ধপাঠ সম্পর্কে লেখেন, “লোক মন্দ হয় নি। কোয়েষ্ট কাগজের এডিটর মিঃ মীট্ – যিনি এখানে রবিবাবুর লেখার অ্যারেঞ্জ করেছিলেন— তাঁর প্রবন্ধটা খুব পছন্দ হয়েছে, তিনি সেটা কোয়েষ্ট কাগজে ছাপাচ্ছেন। …রবিবাবু দু-সপ্তাহ নার্সিং হোমে ছিলেন। কয়েকদিন হল সেখান থেকে এসেছেন। তরশু দেখতে গিয়েছিলাম।”  

কবির সঙ্গে সুকুমার রায়ের প্রথম সাক্ষাৎ কবে ঘটেছিল সে সম্পর্কে রবীন্দ্রজীবনীকারদের কাছে প্রামান্য কোনও নথি নেই। অমল হোমকে লেখা রবীন্দ্রনাথের এক [28 Jan 1911] চিঠিতে দেখা যায় সেখানে তিনি সুকুমার রায়ের নাম উল্লেখ করে ১৪ মাঘ [শনি 28 Jan 1911] রবীন্দ্রনাথ তরুণ ব্রাহ্মদের অন্যতম অমল হোমকে লেখেন: “সেদিন তোমাদের সমাজে যে প্রবন্ধ পড়েছি তাতে যে সকলকে খুশি করতে পারিনি তা আমি জানি। প্রচীনেরা যদি ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন আশ্চর্য্য হবার কিছু নেই। কিন্তু একথা কোনোমতেই স্বীকার করতে পারব না যে সাম্প্রদায়িকতা থেকে ব্রাহ্ম সমাজ মুক্ত। …সুকুমারকে বোলো যে ছাত্রসমাজে কিছু বলবার প্রতিশ্রুতি আমি মনে রাখব।”

পরবর্তীকালে পুরোনো এই প্রতিশ্রুতি [অমল হোম ও সুকুমার রায়কে দেওয়া ১৪ মাঘের চিঠি] রক্ষার জন্য সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের অন্তর্গত ছাত্রসমাজের উদ্যোগে প্রবন্ধপাঠের এক আসর বসান রবীন্দ্রনাথ। সীতা দেবী লিখছেন: “রবীন্দ্রনাথের নাম শুনিলেই যে বিপুল জনতা উপস্থিত হইত তাহা আলোচনা অসম্ভব করিয়া তুলিত। সুতরাং এই সভার কোনো বিজ্ঞাপন বাহিরে দেওয়া হয় নাই। তবু যখন সভাস্থলে গেলাম তখন পূর্ণই দেখিলাম। …রবীন্দ্রনাথ প্রথমে ছোট একটি প্রবন্ধ পাঠ করিলেন, তাহার পর আলোচনা আরম্ভ হইল।”

1913-এর আগে রবীন্দ্রনাথ 16 Jun, 1912 [রবি ২ আষাঢ়] সন্ধ্যায় লণ্ডনে গিয়েছিলেন। সুকুমার রায় আগে থেকেই সেখানে রয়েছেন। তারপর 19 Jun [1912] Hampstead-এ মিঃ পিয়ার্সনের বাড়িতে এক বক্তৃতাসভার আলোচনা করা হয়। সেখানে সুকুমার রায়কে বেঙ্গলি লিটারেচর সম্বন্ধে এক প্রবন্ধ পাঠ করার জন্য আমান্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সে বক্তৃতা সভার বিবরণটি সুকুমার রায় তাঁর বোন পুণ্যলতা চক্রবর্তীকে লিখে পাঠান 21 Jun [শুক্র ৭ আষাঢ়] তারিখে: 

“পরশুদিন Mr. Pearson (যিনি Dr. [P.K.] Roy-এর জায়গায় এখন আছেন)— তাঁর বাড়িতে আমার Bengali Literature সম্বন্ধে একটি পেপার পড়বার নেমন্তন্ন। …সেখানে গিয়ে [দেখি] Mr. & Mrs Arnold, Mr. & Mrs. Rothenstein, Dr. P.C.Ray, Mr. Sarbadhicary প্রভৃতি অনেক [পরিচিত] তা ছাড়া কয়েকজন অচেনা সাহেব মেম উপস্থিত। শুধু তাই নয় ঘরে ঢুকে দেখি রবিবাবু ব’সে আছেন। বুঝতেই পারছিস্ আমার অবস্থা। যা হো’ক্, চোখকান্ বুজে পড়ে দিলাম। লেখাটির জন্য খুব পরিশ্রম করতে হয়েছে। India Office Library-থেকে বইটই এনে materials জোগাড় করতে হয়েছিল। তা’ ছাড়া রবিবাবুর কয়েকটি Poetry (‘সুদূর’, ‘পরশপাথর’, ‘সন্ধ্যা’, ‘কুঁড়ির ভিতর কাঁদিছে গন্ধ’ ইত্যাদি) translate করেছিলাম— সেগুলি সকলেরই খুবই ভাল লেগেছিল। …Dr.Ray, Mr. Sarbadhicary, Mr. Chesire আর  Mr. Cranmer Byng (Nothbrook [Society] এর Secretary আর “Wishdom of the East”—series-এর editor) খুব খুশি হয়েছেন। Mr. Byng আমাকে ধরেছেন— আরো translation করতে, তিনি publish করবেন। …Rothenstein আমার ঠিকানা নিয়ে গেলেন— বললেন “You must come to our place sometimes and stay in to dinner.”

তারপর Pearson-এর ছাতে গেলাম সেখান থেকে Hampstead Heath-এর চমৎকার view পাওয়া যায়। …সেখানে রথীঠাকুরের সঙ্গেও দেখা হ’ল। রবিবাবু আমায় দেখেই বল্লেন “এখানে এসে তোমার চেহারা improve করেছে।”

তারপর ১৯১৩ সালের ১৩ই সেপ্টেম্বর ‘সিটি অব লাহোর’ নামক জাহাজে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে দেশে ফিরে আসেন সুকুমার।

বিলেত থেকে ফেরার দু’মাস পরেই সুকুমারের বিয়ে হয় কে. জি. গুপ্তর ভাগ্নি এবং সরলা ও জগৎচন্দ্র দাশের মেজ মেয়ে সুগায়িকা সুপ্রভার সঙ্গে। বিয়েতে আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত ছিলেন সীতা দেবী। তিনি তার ‘পুণ্যস্মৃতি’ গ্রন্থে এ প্রসঙ্গে লিখেছেন— “এই বৎসর অর্থাৎ ১৯১৩-র ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি বোধ হয় সুকুমার রায়ের বিবাহ হয়। …বিবাহ প্রায় আরম্ভ হইতে যাইতেছে এমন সময় গেটের কাছে করতালিধ্বনি শুনিয়া কিছু বিস্মিত হইয়া গেলাম। পরক্ষণেই দেখিলাম কবি আসিয়া সভাস্থলে প্রবেশ করিলেন।”  

শান্তিনিকেতনের সঙ্গে সুকুমারের ছিল এক আত্মীক সম্পর্ক। কালিদাস নাগ একসময় লিখেছিলেন সেকালের শান্তিনিকেতনের রান্নাঘরে প্রতিদিন আলু খেয়ে খেয়ে বিরক্ত সুকুমার পরিহাসের ভঙ্গিতে গান বাঁধেন, “এই তো ভালো লেগেছিল আলুর নাচন হাতায় হাতায়।” রবীন্দ্রনাথের গানে আসলে যে লাইনটা ছিল “এই তো ভালো লেগেছিল আলোর নাচন পাতায় পাতায়।”

‘পুণ্যস্মৃতি’-গ্রন্থে সীতাদেবী সুকুমার রায়ের সঙ্গে শান্তিনিকেতনের এক অনুষ্ঠানের বর্ণনা দিয়ে লিখছেন— “ইহারই ভিতর একদিন সুকুমার রায় তার ‘অদ্ভুত রামায়ণ’ গান করিয়া শুনাইয়াছিলেন। …‘অদ্ভুত রামায়ণে’ একটি গান আছে, ‘ওরে ভাই, তোরে তাই কানে কানে কই রে, ওই আসে, ওই আসে, ওই ওই ওই রে।’ আশ্রমের ছোট ছেলেরা ঐ গানটি শোনার পর সুকুমারবাবুরই নামকরণ করিয়া বসিল, ‘ওই আসে’। একটি ছোট ছেলে মাঠের ভিতর একটি গর্তে পড়িয়া গিয়া আর উঠিতে পারিতেছিল না। সুকুমারবাবুকে সেইখান দিয়ে যাইতে দেখিয়া সে চীৎকার করিয়া বলিল, ‘ও ওই আসে, আমাকে একটু তুলে দিয়ে যাও তো’!”

এছাড়া, ১৯১৭ সালের আর একদিন। সীতাদেবী লিখছেন: “খোলা মাঠেই সভা হইতেছিল। মেয়েরা এবং মান্যগণ্য অতিথিবর্গ তক্তপোষে বসিলেন, ছেলের দল বসিল মাটিতে শতরঞ্চি বিছাইয়া। সর্বসম্মতিক্রমে সুকুমারবাবু সভাপতি নির্বাচিত হইলেন। রবীন্দ্রনাথ প্রস্তাব করিলেন যে সুকুমারবাবুর পত্নী শ্রীমতি সুপ্রভাকেই সভানেত্রী করা হোক, কারণ আজন্ম কলিকাতায় বাস করিয়া সুকুমারবাবুর বাঙালত্ব খানিকটা লোপ পাইয়াছে। কিন্তু সুপ্রভা রাজি না হওয়াতে সুকুমারবাবুই সভাপতির পদে বহাল রহিলেন।”  

সুকুমার রায়কে দেখে রবীন্দ্রনাথ বলেন, “সুকুমার তুমি যে লিখেছ, ‘ভাব এক্কে ভাব, ভাব দুগণে ধোঁয়া তিন ভাবে ডিসপেপসিয়া ঢেঁকুর উঠবে চোঁয়া’— আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছ কি?”

শান্তিনিকেতনের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল ‘হৈ হৈ সঙ্ঘ’। এই সংঘের বৈঠকে গাইবার জন্যে সিলেক্ট হল সুকুমার রায়ের বিখ্যাত কবিতা— ‘গান জুড়েছেন গ্রীষ্মকালে ভীষ্মলোচন শর্মা’। রবীন্দ্রনাথ তাতে সুর সংযোগ করলেন। গানটি ১৯৩৫-এ রবীন্দ্রনাথের সুরেই শান্তিনিকেতনে গাওয়া হয়।
১৯২৩ সালে সুকুমার শেষ শয্যা নিলেন মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সে। বাঁচার আশা নেই। শেষ ইচ্ছা প্রকাশ করে বললেন, রবীন্দ্রনাথকে দেখতে চাই। রবীন্দ্রনাথ এলেন। এর কিছুদিন পরেই ২৪ ভাদ্র [10 Sep 1923] সুসাহিত্যিক সুকুমার রায়ের জীবনাবসান হয়। ২৬ ভাদ্র [12 Sep 1923] রবীন্দ্রনাথ এই উপলক্ষে শান্তিনিকেতন মন্দিরে এক উপাসনার আয়োজন করেন। আচার্য্যে ভাষণে তিনি বলেন, “আমার পরম স্নেহভাজন যুবকবন্ধু সুকুমার রায়ের রোগশয্যার পাশে এসে যখন বসেছি এই কথাই বার বার আমার মনে হয়েছে। আমি অনেক মৃত্যু দেখেছি কিন্তু এই অল্পবয়স্ক যুবকটির মতো, অল্পকালের আয়ুটিকে নিয়ে মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে এমন নিষ্ঠার সঙ্গে অমৃতময় পুরুষকে অর্ঘ্যদান করতে প্রায় আর কাউকে দেখিনি। মৃত্যুর দ্বারের কাছে দাঁড়িয়ে অসীম জীবনের জয়গান তিনি গাইলেন। তাঁর রোগশয্যার পাশে বসে সেই গানের সুরটিতে আমার চিত্ত পূর্ণ হয়েছে”। …সেদিন সেই যুবকের মৃত্যুশয্যায় দেখলুম সুদীর্ঘকাল দুঃখভোগের পরে জীবনের প্রান্তে দাঁড়িয়ে মৃত্যুর মতো অত বড়ো বিচ্ছেদকে, প্রাণ যাকে পরম শত্রু বলে জানে, তাকেও তিনি পরিপূর্ণ করে দেখতে পেয়েছেন। তাই আমাকে গাইতে অনুরোধ করেছিলেন—

আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে,

তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।

যে গানটি তিনি আমাকে দুবার অনুরোধ করে শুনলেন সেটি এই:  

দুঃখ এ নয়, সুখ নহে গো— গভীর শান্তি এ যে,

আমার সকল ছাড়িয়ে গিয়ে উঠল কোথায় বেজে।

…তাঁকে গান শুনিয়ে ফিরে এসে সে রাত্রে আমি একলা বসে ভাবলুম, মৃত্যু তো জীবনের সব শেষের ছেদ, কিন্তু জীবনেরই মাঝে মাঝেও তো পদে পদে ছেদ আছে। জীবনের গান মরণের শমে এসে থামে বটে, কিন্তু প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তার তাল তো কেবলই মাত্রায় মাত্রায় ছেদ দেখিয়ে যায়।  

গভীর দুঃখ নিয়ে রবি চিঠি লিখেছিলেন সুপ্রভাকে “কল্যাণীয়াসু, তোমার এই গভীর শোকে তোমাকে সান্ত্বনা দেবার যোগ্য কোনো কথা আমি জানি নে। দুই বৎসরের অধিক কাল অক্লান্ত যত্নে নিরন্তর তুমি তোমার স্বামীর সেবা করে এসেচ। তোমার শুশ্রূষার সেই পবিত্র ছবিটি আমি কখনও ভুলব না। আজ তোমার অন্তর্যামী তোমার আহত হৃদয়ের শুশ্রূষার ভার গ্রহণ করুন। আমি রোগশয্যায় যখনি সুকুমারকে দেখতে গিয়েচি, আমার অনেক সময় মনে হয়েচে যে, তোমরা যারা নিয়ত তাঁর সেবার ভার নিয়েচ তোমরা ধন্য, কেননা দুঃসহ ও সুদীর্ঘকালব্যাপী রোগতাপের ভিতর দিয়ে মানুষের এমন আশ্চর্য মাহাত্ম্যের প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায় না।”

মৃত্যুর বছর খানেক আগে ১৯৪০ সালের জুন মাসে ‘পাগলা দাশু’ প্রকাশের ভূমিকা রূপে একটা ছোট লেখামাত্র পাঠান সুপ্রভা রায়ের অনুরোধে। এই লেখাতে সুকুমার সাহিত্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত অথচ সুন্দর মন্তব্য আছে: “সুকুমারের লেখনী থেকে যে অবিমিশ্র হাস্যরসের উৎসধারা বাংলা সাহিত্যকে অভিষিক্ত করেছে তা অতুলনীয়। তাঁর সুনিপুণ ছন্দের বিচিত্র ও স্বচ্ছন্দ গতি, তাঁর ভাবসমাবেশের অভাবনীয় অসংলগ্নতা পদে পদে চমৎকৃতি আনে। …বঙ্গসাহিত্যে ব্যঙ্গ রসিকতার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত আরো কয়েকটি দেখা গিয়েছে কিন্তু সুকুমারের অজস্র হাস্যোচ্ছ্বাসের বিশেষত্ব তাঁর প্রতিভার যে স্বকীয়তার পরিচয় দিয়েছে তার ঠিক সমশ্রেণীয় রচনা দেখা যায় না। তাঁর এই বিশুদ্ধ হাসির দানের সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর অকাল-মৃত্যুর সকরুণতা পাঠকদের মনে চিরকালের জন্য জড়িত হয়ে রইল।”     

গ্রন্থ ঋণ: রবীন্দ্রজীবনকথা  প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়।

রবিজীবনী  প্রশান্তকুমার পাল।

একত্রে রবীন্দ্রনাথ  অমিতাভ চৌধুরি ও ইন্টারনেট

Tagged with: ,